মহেশখালীতে দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির মৃত্যু!

গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী •

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবি কিরঙ্গ বালা ঘোষ (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে।

১৩ আগস্ট (শনিবার) দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে মহেশখালীর হোয়ানকের বড়ছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কিরঙ্গ বালা ঘোষ ওই গ্রামের মৃত রতন ঘোষের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কিরঙ্গ বালা ঘোষের ছেলে সনজিত ঘোষ (৪২) ও সুমন ঘোষ (৩০)।

সন্তোষ ঘোষ জানান, পৈত্রিক বসতভিটার জমি নিয়ে চাচা বিভীষণ ঘোষ ও অখিল ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত ১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় আমার ভাই সঞ্জীব ঘোষ ও সুমন ঘোষকে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলে আমার মা কিরঙ্গ বালা ঘোষ ছেলেদের রক্ষা করতে আসলে তাকেও লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।

পরে আহত অবস্থায় মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাতে কিরঙ্গ বালা এবং তার দুই ছেলে সনজিত ও সুমনকে হাসপাতালে আনা হয় এবং কিরঙ্গ বালাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, সনজিতের মাথায় ও বাম হাতের আঙ্গুলে জখম রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আশেক ইলাহী জানান, উভয়পক্ষ আত্মীয়,জমির সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখানে ছেলেদের উদ্ধার করতে গিয়ে লাঠির আঘাতে বৃদ্ধা অজ্ঞান হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ঘাতকদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রনব চৌধুরী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো এজাহার জমা দেয়নি স্বজনরা।

এজাহার পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।